আমাদের প্রায় প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কমবেশি এই
কালোজিরা রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের রান্নায় কম বেশি এই কালোজিরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই এই কালোজিরাকে বিভিন্ন রোগের মহৌষধ বলে আখ্যা দিয়ে থাকি । আজ আমরা কালোজিরার নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্ঠা করবো..
নিয়মিত কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস(Diabetics), উচ্চ রক্তচাপ(high blood pressure), এলার্জি(alergy) ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কালোজিরার কিছু উপকারিতা:
১. ডায়েট(diet) এর ক্ষেত্রে কালোজিরা দারুণ কার্যকরী। আপনি চাইলে রুটি ও তরকারিতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনেকেই মধু (honey) ও পানির(water) সাথে মিশিয়ে খায়। এছাড়াও টক দইয়ের সাথে যুক্ত করে খেলে বেশ উপকার পাবেন।
২.বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস(diabetics) হলো সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগগুলোর মধ্যে একটি। কালোজিরার তেল এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এ রাখতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। আপনি চাইলে নিয়মিতভাবে সকালে চায়ের সাথে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করতে পারেন।
৩. লেবুর(lemon) রস আল কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সমাধান পাবেন। তাই কালোজিরার তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত মুখে লাগান। দেখবেন, ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ একেবারেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।
৪. কালোজিরায় এন্টি অক্সিডেন্ট (anti occident) থাকে। এর ফলে প্রদাহ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করার পাশাপাশি লিভারকে সুস্থ রাখতে কালোজিরা বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে ।
৫. আপনি চাইলে সরিষার তেলের সাথে কিছুটি কালোজিরা তেল নিয়ে সেটাকে গরম করে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট এ ম্যাসাজ করতে পারেন। এর ফলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে প্রায় শতভাগ মুক্তি পাবেন।
৬. কালোজিরার তেল মাথাব্যথার প্রতিকার এ বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
৭. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে(immunity system) শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কালোজিরা বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। রেগুলার কালোজিরা খেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ গুলো সতেজ থাকে।
৮. সর্দি কাশি হলে একটু কালোজিরার তেল এর সাথে কিছুটা মধু অথবা লাল চায়ের সঙ্গে
কালোজিরের তেল মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খান।
৯. এক চা চামচ কালোজিরার সাথে তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলশি' পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, শরীরের ব্যথাম ও কাশি অনেকাংশেই কমে যায়।
১০. যারা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় কিংবা হাঁপানিতে ভোগেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন খাদ্যতালিকাতে কালোজিরার ভর্তা রাখার চেষ্ঠা করুন ।কেননা? কালোজিরা হাঁপানি কিংবা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা দূরীকরণে খুবই কার্যকর।
১১. নিয়মিতভাবে কালোজিরা খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন (blood circulation) ঠিকঠাকভাবে হয়। এর ফলে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
১২. নিয়ম করে কালোজিরা খাওয়ানোর ফলে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি অনেক দ্রুত ঘটে। এমনকি কালোজিরা শিশুদের মস্তিষ্কের সুস্থতার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে।
১৩. যেসকল মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । প্রসূতি মা যদি নিয়ম করে রাতে শোয়ার পূর্বে 8-10 গ্রাম কালোজিরা দুধের সাথে মিহি করে মিশিয়ে খায় তাহলে 15-20 দিনের মধ্যেই দুধের প্রবাহ অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। এছাড়াও কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলেও উপকারিতা পাওয়া যাবে।
১৪.কালোজিরা রাসায়নিকের বিষাক্ততা কমাতে সক্ষম। যকৃত ও বৃক্ক কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
১৫.এছাড়াও নিয়মিত ভাবে কালোজিরা সেবনের ফলে চুলের গোড়ায় ঠিকমতো পুষ্টি পায়, যারফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে যায় ।
এতো শতো উপকারিতা ছানার পরেও যদি কেউ কালোজিরাকে এড়িয়ে চলে তবে তার মতো বোকা আর কেউ হতে পারে না। নিয়মিত ভাবে রান্নায় কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও পানি দিয়ে সিদ্ধ করে পান করতে পারেন। চাইলে প্রতিদিন সকালে খানিকটা কালোজিরা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন ।
কালোজিরা রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের রান্নায় কম বেশি এই কালোজিরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই এই কালোজিরাকে বিভিন্ন রোগের মহৌষধ বলে আখ্যা দিয়ে থাকি । আজ আমরা কালোজিরার নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্ঠা করবো..
কালোজিরার উপকারিতা |
নিয়মিত কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস(Diabetics), উচ্চ রক্তচাপ(high blood pressure), এলার্জি(alergy) ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কালোজিরার কিছু উপকারিতা:
১. ডায়েট(diet) এর ক্ষেত্রে কালোজিরা দারুণ কার্যকরী। আপনি চাইলে রুটি ও তরকারিতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনেকেই মধু (honey) ও পানির(water) সাথে মিশিয়ে খায়। এছাড়াও টক দইয়ের সাথে যুক্ত করে খেলে বেশ উপকার পাবেন।
২.বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস(diabetics) হলো সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগগুলোর মধ্যে একটি। কালোজিরার তেল এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এ রাখতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। আপনি চাইলে নিয়মিতভাবে সকালে চায়ের সাথে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করতে পারেন।
৩. লেবুর(lemon) রস আল কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সমাধান পাবেন। তাই কালোজিরার তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত মুখে লাগান। দেখবেন, ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ একেবারেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।
৪. কালোজিরায় এন্টি অক্সিডেন্ট (anti occident) থাকে। এর ফলে প্রদাহ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করার পাশাপাশি লিভারকে সুস্থ রাখতে কালোজিরা বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে ।
৫. আপনি চাইলে সরিষার তেলের সাথে কিছুটি কালোজিরা তেল নিয়ে সেটাকে গরম করে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট এ ম্যাসাজ করতে পারেন। এর ফলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে প্রায় শতভাগ মুক্তি পাবেন।
৬. কালোজিরার তেল মাথাব্যথার প্রতিকার এ বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
৭. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে(immunity system) শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কালোজিরা বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। রেগুলার কালোজিরা খেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ গুলো সতেজ থাকে।
৮. সর্দি কাশি হলে একটু কালোজিরার তেল এর সাথে কিছুটা মধু অথবা লাল চায়ের সঙ্গে
কালোজিরের তেল মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খান।
৯. এক চা চামচ কালোজিরার সাথে তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলশি' পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, শরীরের ব্যথাম ও কাশি অনেকাংশেই কমে যায়।
১০. যারা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় কিংবা হাঁপানিতে ভোগেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন খাদ্যতালিকাতে কালোজিরার ভর্তা রাখার চেষ্ঠা করুন ।কেননা? কালোজিরা হাঁপানি কিংবা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা দূরীকরণে খুবই কার্যকর।
১১. নিয়মিতভাবে কালোজিরা খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন (blood circulation) ঠিকঠাকভাবে হয়। এর ফলে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
১২. নিয়ম করে কালোজিরা খাওয়ানোর ফলে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি অনেক দ্রুত ঘটে। এমনকি কালোজিরা শিশুদের মস্তিষ্কের সুস্থতার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে।
১৩. যেসকল মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের ক্ষেত্রে কালোজিরা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । প্রসূতি মা যদি নিয়ম করে রাতে শোয়ার পূর্বে 8-10 গ্রাম কালোজিরা দুধের সাথে মিহি করে মিশিয়ে খায় তাহলে 15-20 দিনের মধ্যেই দুধের প্রবাহ অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। এছাড়াও কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলেও উপকারিতা পাওয়া যাবে।
১৪.কালোজিরা রাসায়নিকের বিষাক্ততা কমাতে সক্ষম। যকৃত ও বৃক্ক কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
১৫.এছাড়াও নিয়মিত ভাবে কালোজিরা সেবনের ফলে চুলের গোড়ায় ঠিকমতো পুষ্টি পায়, যারফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে যায় ।
এতো শতো উপকারিতা ছানার পরেও যদি কেউ কালোজিরাকে এড়িয়ে চলে তবে তার মতো বোকা আর কেউ হতে পারে না। নিয়মিত ভাবে রান্নায় কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও পানি দিয়ে সিদ্ধ করে পান করতে পারেন। চাইলে প্রতিদিন সকালে খানিকটা কালোজিরা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন ।